ঢাকা, ০৬ জানুয়ারী- পৃথিবীর জলবায়ু পাল্টে যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ,বন-জঙ্গল কমে যাওয়ার প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে বরফ গলছে, বাড়ছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা, ঘন ঘন ঘূর্ণীঝড় আর তীব্র তাপদাহে তৈরি হচ্ছে দাবানল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা আর ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে চারধার। প্রতিদিন সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার এই ভয়াবহ দাবানলের ছবি উঠে আসছে। ভয়াবহ এই দাবানলে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন প্রাণী পুড়ে মরেছে। আরও শত শত অজানা প্রাণী চিরতরে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ এই দাবানল বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শোবিজ অঙ্গনের শিল্পীরাও। চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে এখন অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের ছবি। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে লোকালয়ে আশ্রয়ের খুঁজছে বনের হিংস্র জীবজন্তুরাও। ছবিগুলো দেখলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। প্রাকৃতিক এই দূর্যোগের ফলে ফসলি জমি, পশুপাখি, গাছপালা সব পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। দেশটির সরকার সব রকম চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এমন একটা উন্নত দেশে, এভাবে এতদিন ধরে আগুন জ্বলছে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরুপ আচরণ সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পেড়েছে। আমাদের প্রিয় গ্রহটিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। আমি মনে করি, এই সময় অস্ট্রেলিয়ার পাশে অন্যান্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসা উচিৎ। এখনও সময় আছে সচেতনতা বাড়িয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করার। প্রত্যেকটি দেশ বিশেষ করে ধনী দেশ, মধ্য আয়ের দেশগুলোর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। কনা, কণ্ঠশিল্পী খুব অল্প সময়ে প্রকৃতিতে অনেক বড় বড় পরির্বন ঘটেছে। বিশ্বজুড়ে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, অতি বৃষ্টি-অনা বৃষ্টিসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। আজ কয়েক মাস হলো অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে গাছপালা, পশুপাখি সব পুড়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে এখন সেসব ছবিই ঘুরে বেড়াচ্ছে। বীভৎস এই ছবিগুলোর দিকে তাকানো যাচ্ছে না। হিংস্র প্রাণীগুলোর অসহায় মুখগুলো দেখে খুব মায়া হচ্ছে। এই সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর উচিৎ অস্ট্রেলিয়ার পাশে দাঁড়ানো। দাবানল অস্ট্রেলিয়ার কিন্তু এর প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়বে। অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তার মাশুল কিন্তু আমাদেরই দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে পড়েছে সারা বিশ্ব। আমরা যদি এখনও সচেতন না হই, তবে কিন্তু এর চেয়ে আরও খারাপ দুর্ভোগ আমাদের পোহাতে হবে। আরিফিন শুভ, অভিনেতা বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে সবখানে। আমরা হয়তো আরও বড় কোনো দুর্যোগের অপেক্ষায় আছি। অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল থেকেও আরও অনেক বড় কিছুর অপেক্ষায়। আজ কয়েক মাস ধরে চলা এই দাবানলে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। সেখানের বাতাসও বিষাক্ত হয়ে গেছে। যেই হিংস্র বন্যপ্রাণী দেখে মানুষ ছুটে পালাতো, আজ সেই হিংস্র জীবজন্তু আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের কাছে ছুটে আসছে। ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়, তারা কতটা অসহায়। লাখ লাখ পশুপাখী পুড়ে গেছে, বিশাল বন এখন জলন্ত আগুনের পিণ্ড। কয়েক দিন আগেও, বিশ্বের বৃহত্তম অরণ্য আমাজন জঙ্গলেও ভয়াবহ আগুন বিশ্ববাসীকে শঙ্কিত করে তুলেছে। দাবানলের কারণে মাইলের পর মাইল পৃথিবীর ফুসফুসখ্যাত এই বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। এসব ঘটনা মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমরা কি পারি না আমাদের এই গ্রহটাকে বাঁচাতে? এখনও সময় আছে, আমাদের উচিৎ পরিবেশের দিকে নজর দেওয়া। পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব নিয়ে কাজ করা। তাহলে হয়তো আগামীতে এইসব দুর্যোগের হাত থেকে পৃথিবী কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে। মেহজাবীন চৌধুরী, অভিনেত্রী সমস্যাটা শুধু বলা যায় না অস্ট্রেলিয়ার। কারণ এটা যে কোনো জায়গায়, সে কোনো সময়ই ঘটতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনগুলো কি কারণে হচ্ছে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ। আগে মনে হয়েছিল সময় আছে। কিন্তু এখন বিশ্বব্যাপী নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখে মনে হয় না, সময় আছে। সত্যি বলতে আমাদের হাতে ওভাবে সময় নেই। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার এই সমস্যার কথাই বলবো না, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যত আইসবার্গ আছে তা গলতে শুরু করেছে। আমরা যদি এখনও সচেতন না হই, তবে সামনে আর ভয়াবহ দিন আসছে। অস্ট্রেলিয়ার এই দাবানল কিন্তু আমাদের কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। সুত্র : আমাদের সময় এন এ/ ০৬ জানুয়ারী
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39L9hoz
January 06, 2020 at 01:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন