ঢাকা, ০৯ এপ্রিল - করোনাভাইরাসের প্রকপে অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগির সংখ্যা ২১৮। এর মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন। ঘরবন্দি হয়ে সময় কাটাচ্ছেন মানুষ। এই সময় ঢাকাই সিনেমার অসচ্ছল শিল্পী ও দিনমজুর ৩ হাজার পরিবারকে ১০ দিনের খাবার পৌঁছে দিয়েছেন নায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। অনন্তের পথ ধরেই শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জে নিজের গ্রামের ৫০০ পরিবারের কাছে খাবার তুলে দিয়েছেন তার স্ত্রী নায়িকা বর্ষা। তবে এরই মধ্যে অনন্ত সহযোগিতা না পেয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন একজন দুস্থ অভিনেত্রী। এ নিয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম খবরও প্রচার করেছে। আর সেসব অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। নিজের ফেসবুক পেইজে অনন্ত জলিল লিখেছেন, আমি চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতিতে, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিচালক সমিতিতে, প্রোডাকশন ম্যানেজার সমিতিতে, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোডাকশন ম্যানেজার সমিতিতে, মেকআপ আর্টিস্ট সমিতিতে ৪৮০ পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়েছি। যা দিয়ে একটি পরিবারের ৮-১০ দিন চলবে। কতজনের জন্য দিতে হবে সেটা আমাকে সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারিরা জানিয়ে দিয়েছিল আমি ওই হিসেবেই সব সমিতিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। সকল সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারি ও মেম্বাররা নির্ধারণ করেছেন এগুলো কারা পাবেন, আমি নিজে থেকে কোন দায়দায়িত্ব নিইনি বা আলোচনা করিনি, কাদেরকে দেবে। আমি তাদের কাছে আমার ফ্যাক্টরির লোক দিয়ে পৌঁছে দিয়েছি, তারা তাদের লিস্ট মতো বিতরণ করেছেন। কিন্তু কোন কোন পত্রিকায় লিখেছে যে, চলচ্চিত্রের কোন এক এক্সট্রা চরিত্রের অভিনেত্রী অনন্ত জলিলের ও ডিপজলের কোন সাহায্য পায়নি, সারা দিন বাসায় ফোন হাতে নিয়ে ৪-৫ দিন ধরে বসে ছিল, অনন্ত জলিলের ও ডিপজলের ফোনের অপেক্ষায়। এখানে উল্লেখ থাকে যে পত্রিকাগুলোর নিউজের আগে অবশ্যই সত্যতা যাচাই করা উচিত। এটা কি সত্যিই অনন্ত জলিলের ও ডিপজলের দায়িত্ব ছিল ওই অতিরিক্ত শিল্পীকে ফোন করে ডেকে দ্রব্যাদি দেওয়া? যেহেতু সবগুলো সংগঠনের মেম্বাররাই এই দায়িত্বে ছিলেন, যা সমস্ত মিডিয়াতে সবার জানা। এ সংক্রান্ত ভিডিও আমার ফেসবুক পেজে এবং ইউটিউবে পোস্ট করা আছে যা নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক নিউজ হয়েছে। আমার জানামতে প্রতিটি পত্রিকার বিনোদন বিভাগ থেকে নিউজগুলি সবাই পড়ে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মিনিমাম তিন হাজার পরিবারের কাছে ৮-১০ দিনের জন্য আমি খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছি। সব জায়গা থেকে সবাই দোয়া করেছেন ও অনেক সুনাম করেছেন, অনেক পজিটিভ নিউজ হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের জায়গা থেকে কেন নেগেটিভ নিউজ হবে? এইজন্য আমি সকল শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাই-বোনদের কে অনুরোধ করছি সত্যতা যাচাই না করে ভ্রান্তিকর, বিব্রতকর কোন নিউজ করবেন না। এতেকরে শুধু আমি নয়, যেকোনো মানুষেরই মন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি মানুষের সহযোগিতা করি নিঃস্বার্থভাবে, এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই। আমি চাই না আপনাদের এসব নেগেটিভ নিউজ দিয়ে বিব্রত হয়ে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াতে। আশা করি আমার কথাগুলো আপনারা সকল শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাই-বোনেরা ভেবে দেখবেন। এন এইচ, ০৯ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VbUwVG
April 09, 2020 at 04:40AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন