ঢাকা, ২৭ মে- রোদে পোড়া চামড়া, মাথায় উসকো-খুসকো চুল, পোড় খাওয়া উদাসীন চোখ। মুখে বহুদিনের না কামানো কাঁচা-পাকা দাড়ি। গোড়ালির কাছে ভাঁজ করা ময়লা প্যান্ট আর রংচটা কাপড়ের জুতো এই হচ্ছে ভাদু। ভাদুর বিচরণ ক্ষেত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা আর চারুকলা অনুষদ। ভাদুকে কখনও দেখা যায় ফুটপাথের পুরনো বইয়ের দোকানে। মনযোগ দিয়ে বই ঘাটে সে। কবিতার বই তার প্রথম পছন্দ। প্রায়ই বকুলতলায় বসে ভাদুকে দেখা যায় কবিতা আওড়াতে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী ভাদুর আবৃত্তিতে ফিরে ফিরে আসে। চারুকলার কোন গাছে পেঁচা বাসা করেছে, কোন গাছের খোড়লে শালিক দম্পতি থাকে সব তার জানা। ভাদুর একমাত্র বিলাসিতা সে প্রতিদিন সকালে মোল্লার দোকানে গিয়ে তিন কাপ চা খায়-একসঙ্গে। একটার পর একটা নয়। তিনটা কাপেই একসঙ্গে চুমুক দিয়ে গরম-গরম চা খেতে ভালোবাসে ভাদু। এক গোপন প্রেমিকাও আছে ভাদুর। যখন তখন যেখানে সেখানে নীল শাড়ি পরা এই তরুণীর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় ভাদুর। তার সঙ্গে নানান সুখ দুঃখের আলাপ করে ভাদু। মেয়েটা কোথা থেকে আসে। কোথা থেকে যায় ঠিক বোঝা কঠিন। মাঝে-মধ্যে হঠাৎ ভাদুকে চারুকলা এলাকায় দেখা যায় না। সেদিন ভাদু থাকে একটি বিশেষ অ্যাসাইনমেন্টে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না ভাদু। লোক মারফত খবর আসে তার কাছে। সেই বিশেষ কাজটি হচ্ছে খুন। ভাদু নিছক ভাড়াটে খুনি নয়। একটা মানুষকে খুন করার আগে খুনির সঙ্গে কঠিন একটা মাইন্ড গেম খেলে সে। শিকারকে সে নিয়ে যায় সহ্যের শেষ সীমায়। প্রায় সময়ই দেখা যায় শিকার নিজেই আত্মহত্যা করে। এবারে ছয় জন লোকের তালিকা এসেছে তার কাছে। খুবই বিপজ্জনক টাইপের ছয়জন লোক। সমাজে খুবই সম্মানিত কিন্তু আদতে দেশ ও জাতির শত্রু। ছয় দফায় এই ছয়জন লোককে অপহরণ করে ভাদু। ছয় পর্বে এই ছয়জনের কাহিনী। ছয়জনকেই অপহরণ করে তার বিশেষ টর্চার সেলে নিয়ে আসে ভাদু। প্রচারিত হচ্ছে ঈদের ৭ দিন ধরে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন দেশটিভিতে। অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের, মেহজাবিন, শহিদুজ্জামান সেলিম, জামান, খসরু, মিশু সাব্বির, বৃষ্টি। ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর রচনায় ধারাবাহিকটি পরিচালনা করেছেন রেদওয়ান রনি। আর/০৮:১৪/২৭ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2M4yZKo
May 27, 2020 at 01:02PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন