ঢাকা, ১১ জুন- করোনাকালে ধ্বংসের মুখে সংস্কৃতি অঙ্গন। চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে নাটক, গান, মঞ্চনাটকসহ সংস্কৃতির সব কিছুতেই চরম মন্দা চলছে। এ থেকে উত্তরণের পথও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। করোনার সময়েবৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হলো ২০২০-২১ সালের বাজেট। এতে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৭৯ কোটি টাকা। সংস্কৃতিকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বরাবরই বাজেটে একেবারেই গুরুত্ব পায় না সংস্কৃতি খাত। এবার একটু আলাদা নজর দেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষরা। জাতীয় বাজেটের সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এ খাতে। ফলে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক চর্চা। করোনাকালে সংস্কৃতিকে গতিশীল করার জন্য দরকার কার্যকর উদ্যোগ। এ জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন অনেকে। নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক বলেন, সৃজনশীল শক্তিই বড় শক্তি। নাগরিকদের মধ্যে সৃজনশীল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রথমেই ভাবতে হবে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা। এ জন্য শুধু কেন্দ্র নয়, প্রান্তে-উপান্তে ছড়িয়ে দিতে হবে সংস্কৃতিকে। গ্রাম-মফস্বল পর্যায়ে সংস্কৃতিচর্চা কমে গেছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বাড়াতে চাই শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম। তাই প্রয়োজন পর্যাপ্ত বরাদ্দ। কিন্তু ঘোষিত বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দৃ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার চর্চা না হয়ে আজ অন্য সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে। ফলে সংস্কৃতির উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তায় বিশ্বাস করলে যে সংস্কৃতি মানুষকে মুক্ত ও স্বাধীন করবে, সেই সংস্কৃতিকে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। এখন বৈশ্বিক মহামারিতে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম হয়ে গেছে। এটা নিয়ে সরকারের পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা এখন ক্রান্তিকাল পার করছি। সংস্কৃতির সবকিছুই এখন বন্ধ। অনেকে খুব কঠিন সময় পার করছেন। সংস্কৃতিকর্মীদের রক্ষা করতে বাজেটে বরাদ্দ যা বাড়ানো হয়েছে তা খুবই সীমিত। পাশাপাশি বিশেষ প্রণোদনা তো আমরা পাইনি। সবমিলিয়ে এ খাত চরম বিপদে পড়বে। বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। রয়েছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক রীতি ও আচার। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ আর অর্থের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। ফলে ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন। এ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য বাজেটে আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও দরকার রয়েছে। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সোহেল রানা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কৃতির জন্য মাত্র ৫৭৯ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেয়, যা খুবই হাস্যকর। যেখানে সব ব্যবসায়ী বিশেষ প্রণোদনা পাচ্ছেন। অথচ চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের জন্য নেই কোন বিশেষ বরাদ্দ। তাই এ ক্ষেত্রে সংকট চলছে। এম এন / ১১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/30wmHmr
June 11, 2020 at 03:01PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন