কলকাতা, ০১ জুলাই- ভারত সরকার চীনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরের দিনই অফলাইন হয়ে গেল ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক। অ্যাপ খুললেই ভারতে এই অ্যাপ ব্লকসংক্রান্ত মেসেজ ভেসে উঠছে স্ক্রিনে। মঙ্গলবার থেকেই প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোর খুললেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষের পছন্দের এই অ্যাপ। খবর এনডিটিভির। ভিডিও শেয়ারিংয়ের এই অ্যাপটি খুব কম সময়ে ভারতবাসীর মনে জায়গা করে নেয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তারকাদের মধ্যেও। টালিউডের যেসব সেলিব্রেটি এই অ্যাপের প্রেমে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী-সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল টিকটকে জয়েন করেন নুসরাত। তার আগুন ঝরানো নাচে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ারের সংখ্যা। সোমবার পর্যন্ত নুসরাতের টিকটকে ফ্যান সংখ্যা ছিল ১৪ লাখেরও বেশি। লাইকসের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লাখ। টিকটক বন্ধ হওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমার কাছে টিকটক আমার ফ্যানদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি মাধ্যম মাত্র। যদি দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ বন্ধ করা হয়, সে ক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। একই সঙ্গে নুসরাতের প্রশ্ন ভারতে যেসব চীনা সংস্থায় ইতিমধ্যে বিনিয়োগ করেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কী করা হবে? প্রধানমন্ত্রীর চী সফর থেকে কী পেয়েছি আমরা? নুসরাত বলেন, এসবের উত্তর আজও পাইনি। তা ছাড়া যেসব মানুষ এই দেশে চীনা পণ্য আমদানি-রফতানি করেন, তাদের কী হবে? এই দুঃসময়ে কি তারা কাজ হারাবেন? তবে নুসরাত জানিয়েছেন, ফ্যানদের মন খারাপের কিছু নেই। তিনি কথা দিয়েছেন, টিকটকে না থাকলেও ইনস্টাগ্রামেই ফ্যানদের সঙ্গে ভালোবাসা ভাগ করে নেবেন। নুসরাতের মতো অতটা সক্রিয় না হলেও আরেক এমপি-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও মাঝে মাঝেই টিকটকে পোস্ট করতেন ভিডিও। টিকটক বন্ধ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনিও। যদিও টিকটক থাকা বা না থাকা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নন তিনি। মিমি বলেন, আমি নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। আমি একজন পারফরমার। আমার কাছে সব প্ল্যাটফরমই সমান। তাই মাঝে মাঝে টিকটকে ভিডিও পোস্ট করতাম। কাল যদি আরও চারটি অ্যাপও বন্ধ হয়, দেশের জন্য তাতে আমার কোনো অসুবিধে নেই। টিকটক চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণহানি হয়েছে অনেকের। সে কথা মনে পড়তেই মিমি বললেন, ভালোই হয়েছে। যে অ্যাপ মানুষের ক্ষতি করেছে তা চীনের হোক বা ভারতের, বন্ধ হওয়াই কাম্য। তবে নুসরাতের মতো মিমিও প্রশ্ন তুলেছেন, চীনা পণ্য বিক্রি ভারতে বন্ধ হলে তার পরিবর্তে সে রকম বড় কারখানা ভারতে আদৌ গড়ে উঠবে কিনা? যে মানুষ চীনা পণ্য বেচাকেনার মাধ্যমে পেট চালান, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য কী ভেবেছে সরকার? তবে ভক্তদের মন খারাপ দূর করার জন্য এখন থেকে ইউটিউব আর ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি সক্রিয় হবেন এ দুই তারকা-এমপি। এম এন / ০১ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YLHX6g
July 01, 2020 at 06:28AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন