মুম্বাই, ২৯ জুলাই - ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তবে আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসায় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখনো সুশান্তের আত্মহত্যার কারণ জানা না গেলেও বাসায় থাকা কাগজপত্র ঘেঁটে ধারণা করা হচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। মুম্বাই পুলিশ তার আত্মহত্যার কারণ জানতে তদন্তে নেমেছে। তার মৃত্যু নিয়ে অনেক রকম কথাই উঠছে বলিউডে। কেউ বলছেন তাকে ধীরে ধীরে খুন করা হয়েছে মানসিক অত্যাচারে। তার জন্য দায়ী বলিউডের নামি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো ও বড় বড় তারকার স্বজনপ্রীতি। সে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এ অভিনেতার মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে কথা বলছেন অনেক বড় রাজনীতিবিদরাও। আরও পড়ুন: এবার রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের বাবার মামলা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের ভার, এ দাবি তুলেই নেটদুনিয়াজুড়ে সরব হয়েছেন সুশান্ত-অনুগামীরা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সেই প্রতিবাদে খুব একটা কাজে লাগেনি। এ বিষয়ে সোজাসুজি প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারা। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে কিছুদিন আগেই আইনজীবী নিয়োগ করেছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। শুধু তাই নয়, সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত করার আবেদন জানিয়ে মোদিকে চিঠিও দিয়েছিলেন। সেই চিঠি পেয়ে প্রাপ্তি স্বীকার করে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে পালটা যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেটিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সুব্রহ্মণ্যমের চিঠির উত্তরে মোদিজি শুধু জানিয়েছেন, হ্যাঁ, ১৫ জুলাই আপনার পাঠানো সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আবেদনপত্র আমি পেয়েছি। ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোনোরকম আলোচনা হবে কিনা, সে প্রসঙ্গে চিঠিতে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে বিহারের জনঅধিকার পার্টির নেতা পাপ্পু যাদবও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে সুশান্তের মৃত্যুর জন্য সিবিআই তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই চিঠিরও প্রাপ্তি স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য একটি বিভাগের কাছে ফরোয়ার্ড করেছিলেন। এবার বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদনপত্রের প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন স্বয়ং মোদি। তবে আদৌ ভবিষ্যতে সুশান্ত ইস্যু সিবিআইয়ের হাতে যাবে কিনা, সেই ধোঁয়াশা এখনও কাটছে না। এন এইচ, ২৯ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/312AiRc
July 29, 2020 at 04:12AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন