কলকাতা, ১১ জুলাই- বাংলাদেশের মাটিতে কোনো দিন পা রাখেননি, কিন্তু ঠিকই জানেন কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা শিবিরের কথা। কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরের মানুষগুলোর সঙ্গে তাঁর গল্প করার ইচ্ছা। কলকাতার কোয়েল মল্লিকের কাছে আরো অনেক কথাই শুনলেন । এই মুহূর্তে তিনটি ছবির শিডিউলে বাংলাদেশের কোনো আউটডোর লোকেশন নেই। কিন্তু কোয়েলের মাথায় ঘুরছে, যদি একবার কক্সবাজার গিয়ে শরণার্থী শিবিরের মানুষগুলোর সঙ্গে গল্প করা যেত, তাদের কষ্টের কথাগুলো জানা যেত! কোয়েল মল্লিক টালিউডের অন্য নায়িকাদের চেয়ে অনেক আলাদা। যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে আড়ি পাতলেই শোনা যায়সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন, একদিকে বাবা রঞ্জিত মল্লিক, অন্যদিকে নিসপাল সিং রানের মতো প্রডিউসার স্বামী...! বিত্তের অভাব নেই। কিন্তু সিলভার স্ক্রিনের জাঁকজমক ছাড়াও তিনি অনেক কিছু ভাবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। আপনাদের প্রধানমন্ত্রীর এত মায়া-মমতা, ভালোবাসা, এতগুলো গৃহহীন মানুষকে নিজের দেশে জায়গা দিয়েছেন, আমি তাঁকে কুর্নিশ জানাইবললেন কোয়েল। ফিল্মের মানুষ মানেই সাজগোজ, কেনাকাটা, ফাস্ট লাইফ নয়। ফিল্মের দুনিয়ায় থাকলেও কোয়েল মানুষের কথা ভাবার চেষ্টা করেন। বোঝার চেষ্টা করেন তাদের সুখ-দুঃখ। আমিও যেতে চাই কুতুপালং। ওখানকার মেয়েদের সঙ্গে, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। সারা দুনিয়ার মানুষদের জানাতে চাই ওদের জীবনের কষ্টের কথাঅভিনেতা বাবা রঞ্জিত মল্লিকের গলফ গ্রিনের বাসায় কথা বলতে বলতে জানালেন কোয়েল। সফল অভিনেত্রীর মুখে কোনো চড়া মেকআপ নেই। হালকা লিপস্টিক, চোখে হালকা কাজল, আর একটা ফ্লোরাল ফ্রক পরে কোয়েল বসে আছেন। গোধূলির আলোয় আরো সুন্দর লাগছে দুই বাংলার এই হার্টথ্রবকে। রোহিঙ্গা শিবিরের কথা বলতে গিয়ে কেমন যেন বিষণ্ন হয়ে পড়লেন। কত কষ্ট মানুষের! আমি যদি কিছু করতে পারতাম ওদের জন্যবিড়বিড় করলেন কোয়েল। ইউনিসেফের হয়ে গার্ল চাইল্ডের ক্যাম্পেইন করেছেন, মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করেন কোয়েল। সুযোগ পেলেই প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেতে চান তিনি। আক্ষেপের সুরে বললেন, বাংলাদেশে এখনো যাওয়া হয়নি। তবে কক্সবাজারের বিচের কথা, বান্দরবানের কথা, সিলেটের পার্বত্য অঞ্চলের কথা অনেক শুনেছি। সিলেটের সাতরঙা চা খাওয়ারও খুব ইচ্ছা আছে। আর? ইলিশ শুনলেই জিবে জল আসে, আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে তো কোনো কথাই নেইজানিয়েছেন কলকাতার ঘটিবাড়ির মেয়ে কোয়েল। আমি বাঙাল কথা বলতে পারি না, কিন্তু খুব মন দিয়ে শুনি যখন মানুষ বাঙাল কথা বলে। এত মিষ্টি লাগে, খুব প্রেমের ভাষা মনে হয়বলে খিলখিল করে হেসে উঠলেন টালিউডের রোমান্টিক সিনেমার সফলতম অভিনেত্রী কোয়েল। তবে শুধু মিষ্টি প্রেমের ছবি নয়, কোয়েল চাইছেন নতুন চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ না থাকলে কি আর ভালো লাগে? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন সাইকোলজির ছাত্রী। অভিনেত্রী না হলে হয়তো সাইকোলজিস্ট হতেন, বলে ফেললেন কোয়েল। ইতিহাস, ভূগোল, ফিজিকস, কেমিস্ট্রির মতো সাইকোলজিও স্কুলে পড়ানো উচিত। মানুষ তাহলে নিজেকে বুঝবে, নিজের মেন্টাল হেলথ বুঝবে...তা ছাড়া অন্যদেরও দুঃখকষ্ট বুঝবে। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ এমএ/ ১০:৪৪/ ১১ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zwPWcU
July 12, 2018 at 04:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন